কেতাবটির পরিচয়ের জন্য কয়েকটি উদ্ধৃতিঃ
১। আপনি যদি কোন ধর্মে থাকেন, কিন্তু আল্লাহর মহব্বৎ থেকে বঞ্চিত হন, তার চেয়ে উত্তম সে, যে কোন ধর্মে নেই কিন্তু আল্লাহর সাথে মহব্বৎ রাখে।
২। মহব্বতের সম্পর্ক হৃদয়ের সাথে, যখন দিলের কম্পনের সাথে আল্লাহ আল্লাহ মেলানো হয় তখন তা রক্তের মাধ্যমে শিরায় শিরায় পৌঁছে রূহদের সজাগ করে। অতপর রূহ আল্লাহর নামে মাতাল হয়ে আল্লাহর মহব্বতে পৌঁছে যায়।
৩। আল্লাহর যে কোন নাম, যে কোন ভাষায় সম্মানযোগ্য। কিন্তু রবের আসল নাম সুরিয়ানী ভাষায় আল্লাহ। এটা আরশবাসীদের ভাষা, ফেরেশতাগণ এই নামেই ডাকে এবং প্রত্যেক নবীর কালেমার সাথে যুক্ত হয়েছে।
৪। জলে বা স্থলে খাঁটি মনে রবের সন্ধানে লিপ্ত যে কোন ব্যক্তিই সম্মানীয়।
৫। এই পৃথিবীতে একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভূখণ্ডে কয়েকজন আদম আগমন করেন। পৃথিবীতে সকল আদম পৃথিবীর মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। শেষ আদম, যে আরবের মাটিতে সমাধিত হয়েছে, কেবল তাকেই স্বর্গের মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। তাকে ছাড়া আর কোন আদমকে ফেরেস্তাগণ সেজদা করেনি। ইবলিশ এই আদম সন্তানদের শত্রু হয়েছে।
৬। মানুষের দেহে সাত প্রকারের সৃষ্টি রয়েছে, উহাদের সম্পর্ক ভিন্ন ভিন্ন আকাশ, ভিন্ন ভিন্ন বেহেশত এবং মানুষের দেহের ভিন্ন ভিন্ন কাজের সাথে রয়েছে। যদি উহাতে নূরের শক্তি পৌঁছানো যায়, তাহলে উহা সেই মানুষটির
আকৃতিতে একই সময় কয়েকটা স্থানে এমন কি অলি, নবীদের মজলিস এবং রবের সাথে কথোপকথন এবং দর্শনও লাভ করতে পারে।
৭। প্রত্যেক মানুষের দুটি ধর্ম রয়েছে-একটি দেহের ধর্ম, যা মৃত্যুর পর শেষ হয়ে যায়, অপরটি রূহের ধর্ম যা আদিতে ছিল, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে মহব্বৎ, উহার দ্বারাই মানুষের মর্যাদা উন্নত হয়।
৮। সব ধর্ম থেকে উত্তম রবের ইশক (তীব্র আনন্দদায়ক প্রেম) এবং সকল ইবাদতের চেয়ে উত্তম রবের দর্শন।
৯। মানুষ, প্রাণী, বৃক্ষ এবং পাথর সম্পর্কে জ্ঞান-এগুলো কী ভাবে সৃষ্টি হলো এবং কেন কোনটা হালাল ও কেন কোনটা হারাম হল?
১০। রূহ সমূহ এবং ফেরেস্তাগণ আমরে কুন (হয়ে যাও) হুকুমের দ্বারা সৃষ্টি হয়। আমরে কুনের পূর্বে কি সৃষ্টি ছিল ? সেটি কোন কুকুর ছিল যা হযরত কিতমীর রূপে বেহেশতে যাবে ? সেগুলো কোন মানুষ যাদের রূহ আদিতে কালেমা পাঠ করেছিল?