জাশন-এ-শাহী উদযাপনের কারণসমূহ
১৫ই রমজান ১৯৭৭ সালে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ এলহাম (গুপ্ত কথোপকথন বা ওহি) দেওয়ার ধারা শুরু হয়।
এই দিনে "রাজিয়া মরজিয়ার" (তোমার ইচ্ছা, আমার ইচ্ছা---আমার ইচ্ছা তোমার ইচ্ছা) ওয়াদা করা হয় এবং বিশেষ মর্যাদাও দেওয়া হয়। যেহেতু প্রত্যেক মর্যাদা এবং মে’রাজ (আধ্যাত্মিক উত্থান) এর সম্পর্ক ১৫ই রমজানের সাথে জড়িত, তাই এই দিনটি আনন্দের সাথে জশনে শাহী উদযাপন করা হয়।
১৯৭৮ সালে হযরত গওহার শাহী হায়দারাবাদে এসে হেদায়েতের (সঠিক পথ প্রদর্শন) ধারা শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই আধ্যাত্মিক ধারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় আল্লাহর যিকির (স্মরণ) দ্বারা জাগ্রত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্বলব (হৃদয়) এর উপর ইসম-এ-আল্লাহ্ "الله" অঙ্কিত হয় এবং তা মানুষের চোখে দেখা যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাশফুল কুবুর (আউলিয়াদের নফসের সাথে কথা বলার ক্ষমতা) এবং কাশফুল হুজুর (হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আধ্যাত্মিক সম্মেলন) পর্যন্ত পৌঁছে যায়। লক্ষ লক্ষ দুরারোগ্য রোগী সুস্থ হয়। প্রত্যেক ধর্ম, সম্প্রদায় এবং গোত্রের মানুষ হযরত গওহার শাহীর কাছ থেকে সত্য পথের দিশা ও হেদায়েত পেয়ে আল্লাহর মহব্বত (প্রেম) এবং আল্লাহর জাত (সান্নিধ্য) পর্যন্ত পৌঁছতে শুরু করে। "খোদার কসম! আমিও সে সব লোকদেরই মধ্যে যাদের দিলে সুন্দর অক্ষরে লেখা আল্লাহ্ "الله" নাম চকচক করছে।" - (শেখ নেজামুদ্দীন.....মেরিল্যাণ্ড, আমেরিকা)