Skip to content

তকদির (নিয়তি)

তকদির দুই প্রকার:
১. আজালি তকদির (যা পূর্বেই নির্ধারিত) ২. মু'আল্লাক তকদির (যা অনিশ্চিত)

অনেকে প্রশ্ন করে, ‘যদি রিজিক আগেই তকদিরে লিখা থাকে, তাহলে চেষ্টা করার দরকার কী?’মাখদুম জাহানিয়া উত্তর দিয়েছিলেন, ‘রিজিক পাওয়ার জন্য চেষ্টা করাও তকদিরে লেখা থাকে।’উদাহরণস্বরূপ,ধরো, তোমার জন্য ছাদের ওপর একটি ফুলদানি রাখা হয়েছে—এটাই আজালি তকদির। কিন্তু সেই ফুলদানি নিতে হলে তোমাকে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে হবে—এটাই মু'আল্লাক তকদির, যা তোমার ইচ্ছাধীন।

এ কারণেই কিয়ামতের দিন মানুষের আমলের হিসাব নেওয়া হবে, আজালি তকদিরের জন্য নয়। যদি তুমি সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠো, তাহলে যা তোমার ভাগ্যে লেখা আছে তা পেয়ে যাবে। কিন্তু যদি অলস হয়ে বসে থাকো, তাহলে তা থেকে বঞ্চিত হবে।অন্যদিকে, যার ভাগ্যে ফুলদানি নেই, সে যদি অনেক চেষ্টা করেও ছাদে ওঠে, তবুও সে তা পাবে না।